
প্রকাশিত: Fri, Jan 6, 2023 4:38 PM আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 9:03 AM
কলের গান বা গ্রামোফোন
খালিদ খলিল : নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মেনে গ্রামোফোন বা কলের গান বেশ কয়েক দশক আগেই বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে সংগীত- ঐতিহ্যের এক প্রাণোজ্জ্বল সম্পদ। পেছনের কথাঃ শব্দ সংরক্ষণের জনক টমাস আলভা এডিসন। তিনি ১৮৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কাঠের বাক্সের ওপর চোঙা লাগানো এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করলেন যার মধ্যে গোলাকৃতি এক বস্তুর ওপর চাকতির মধ্যে পিন লাগিয়ে ঘোরালে শব্দ উৎপন্ন হয়। এডিসন তাঁর প্রিয় কবিতা ‘মেরি হ্যাড এ লিটল ল্যাম্প’ পাঠ করে রেকর্ডে ভরে উদ্বোধন করলেন যন্ত্রের। নাম দিয়েছিলেন ‘ফনোগ্রাফ। বছর দশেক পর জার্মানির বিজ্ঞানী বার্নিলার টিনফয়েল আধুনিক করে, মোমের রেকর্ড বানিয়ে নাম দেন গ্রামোফোন। তারপর মাটির রেকর্ড থেকে প্লাস্টিকের সুতায় ঘূর্ণন রেকর্ড। এডিসনের পোষা প্রিয় কুকুরকে গ্রামোফোনের চোঙের সামনে বসিয়ে মনোগ্রাম করে নামকরণ হয় ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ সংক্ষেপে এইচএমভি। ১৮৯৮ সালে জার্মানিতে গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানি।
আন্দামান ও ভারত মহাসাগরকে অতিক্রম করে এই উপমহাদেশে কলের গানের প্রথম আগমন ভারতের বোম্বে (মুম্বাই) ও কলকাতায়। তারপর আসে বাংলাদেশে। কে প্রথম গ্রামোফোন আনেন এ নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ১৮৯৫ সালে স্বামী বিবেকানন্দ তার বন্ধুর কাছ থেকে গ্রামোফোন উপহার পান। কলকাতার বেলিয়াঘাটায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ড কারখানা স্থাপিত হয় ১৯০৮ সালের ১৯ জুন। সেখানে গ্রামোফোন যন্ত্র ও খুচরা পার্টসও তৈরি হতো। তখন বেশির ভাগ রেকর্ড ছিল প্রতি মিনিটে ৭৮ বার ঘূর্ণনের। এই রেকর্ডকে বলা হতো ৭৮ আরপিএম (রিভলভিং পার মিনিট)। এইচএমভি, কলাম্বিয়া, টুইন কোম্পানির রেকর্ড চলত বেশি। ঐতিহাসিক পালা ‘সিরাজউদ্দৌলা’, ‘চাঁদ সওদাগর’, শৈলজানন্দের ‘শহর থেকে দূরে’ নাটকের রেকর্ড ব্যাপক প্রচার পায়। তবে উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি চলে বাট শেফার্ডের হাসির গানের রেকর্ড। ৫ লাখ কপি বিক্রি হয়।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
